করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের বিভিন্ন শিল্প খাত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়লেও ওষুধশিল্পে রপ্তানি আয় বেড়েছে। রপ্তানি পণ্যের তালিকায় কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধের অন্তর্ভুক্তি, গুণগতমানের উন্নয়ন ও সরকারের নীতিসহায়তার কারণে সুবাতাস বইছে এ খাতে।
সদ্য শেষ হওয়া ২০২০-২১ অর্থবছরে বাংলাদেশ ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২ হাজার ডলারের বিভিন্ন ধরনের ওষুধ রপ্তানি করেছে। বর্তমান বাজার দরে (প্রতি ডলার ৮৪ টাকা ৮০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।
এই অঙ্ক আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৭ শতাংশ বেশি। ওষুধশিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, গত অর্থবছরে কেবল কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ব্যবহৃত ওষুধ রপ্তানি থেকেই আয় হয়েছে প্রায় ৪০০ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ মূলত ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা, ক্যানসার, কুষ্ঠরোগ, অ্যান্টি-হেপাটিক, পেনিসিলিন, স্ট্রেপটোমাইসিন, কিডনি ডায়ালাইসিস, হোমিওপ্যাথিক, বায়োকেমিক্যাল, আয়ুর্বেদিক ও হাইড্রোসিলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওষুধ রপ্তানি করে থাকে।
গত অর্থবছরে এ তালিকায় করোনাভাইরাস প্রতিরোধক ওষুধ যুক্ত হয়, ফলে এ শিল্পে রপ্তানি আয়ের পরিমাণ আরও বেড়েছে।
বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের গ্লোবাল বিজনেসের পরিচালক মনজুরুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের ফার্মাসিউটিক্যাল শিল্প অল্প সময়ের মধ্যে করোনাভাইরাস নিরোধক ওষুধের জেনেরিক সংস্করণ উৎপাদন করে সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে। ফলে ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর চিকিৎসায় ব্যবহৃত অ্যান্টি-ভাইরাল ড্রাগ রেমডেসিভির ও ফ্যাভিপিরাভির গত অর্থবছরে রপ্তানির প্রবৃদ্ধি বাড়িয়েছে।’
সরকারের নীতিসহায়তার প্রশংসা করে মনজুরুল বলেন, ‘বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো উচ্চ পর্যায়ের নিয়ন্ত্রিত বাজারে তিন মাসের মধ্যে প্রবেশ করতে পেরেছে, যেখানে প্রবেশ করতে স্বাভাবিক অবস্থায় অন্তত দুই বছর সময় লাগত।’
ওষুধশিল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকার বিভিন্ন দেশের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বাংলাদেশ থেকে রেমডেসিভির ও ফ্যাভিপিরাভিরের জেনেরিক সংস্করণটি আমদানি করছে।
ভারতে রেকর্ড পরিমাণ করোনাভাইরাস সংক্রমণের পর এপ্রিলে দেশটি রেমডেসিভির ও এর উপকরণ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়। এমন প্রেক্ষাপটে বৈশ্বিক ব্যাপক চাহিদার সুবিধা নিতে পেরেছে বাংলাদেশ।
পরিসংখ্যান বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ২০১০-১১ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি করে ৩৭৫ কোটি টাকা আয় করেছিল বাংলাদেশ। ১০ বছরের ব্যবধানে সেই আয় চার গুণ বেড়ে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকায় পৌঁছেছে।
এ সময়ে প্রতিবছরেই জীবন রক্ষাকারী ওষুধ পণ্য রপ্তানি থেকে প্রচুর বিদেশি মুদ্রা দেশে এসেছে। তবে, ২০১৫ সালে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা (ডব্লিউটিও) স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে ছাড় (মেধাস্বত্ব অধিকার-ট্রিপস) দেয়ার পর থেকে এ খাতের রপ্তানির পালে বাড়তি হাওয়া লাগে। এরপর করোনা চিকিৎসার ওষুধ রপ্তানি করে আরও এক ধাপ এগিয়ে গেছে ওষুধ খাত।
৯২ দেশে ওষুধ রপ্তানি
অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল গত ৩ জুন ২০২১-২২ অর্থবছরের বাজেট বক্তৃতায় ওষুধশিল্প নিয়ে বলেন, ‘দেশের মোট চাহিদার প্রায় ৯৭ শতাংশের বেশি ওষুধ স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত হচ্ছে। এর পাশাপাশি ৪৩টি কোম্পানির বিভিন্ন প্রকারের ওষুধ ও ওষুধের কাঁচামাল যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের প্রায় ৯২টি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। ওষুধশিল্পের আরও উন্নতির লক্ষ্যে মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়াতে সব ধরনের অবকাঠামোগত সুবিধা এবং কেন্দ্রীয় বর্জ্য শোধনাগারসহ এপিআই শিল্পপার্ক স্থাপন শেষ হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের নিজস্ব এপিআই না থাকায় ব্যবহৃত এপিআইয়ের প্রায় ৯৫ শতাংশ আমদানি করতে হয়। আমদানিনির্ভর কাঁচামালের ওপর ভিত্তি করে আমাদের ওষুধশিল্প টেকসই হবে না। অন্যদিকে, এলডিসি হতে উত্তরণের কারণে ওষুধশিল্প খাতে বিদ্যমান ট্রিপস ওয়েভার সুবিধার পরিসমাপ্তিতে আগামীতে ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ জন্য দেশীয়ভাবে ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল উৎপাদন করা আবশ্যক।’
এমন প্রেক্ষাপটে এপিআই খাতে টেকসই শিল্পায়নের মাধ্যমে উৎপাদন বৃদ্ধি, রপ্তানি বহুমুখীকরণ এবং দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে ‘জাতীয় এপিআই ও ল্যাবরেটরি বিকারক (Reagents) উৎপাদন ও রপ্তানিনীতি’ প্রণয়ন করা হয়েছে বলেও জানান মুস্তফা কামাল।
১০ বছরের রপ্তানির চিত্র
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, ২০২০-২১ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি থেকে আয় হয়েছে ১৬ কোটি ৯০ লাখ ২০ হাজার ডলার বা ১ হাজার ৪৩৪ কোটি টাকা।
আগের ২০১৯-২০ অর্থবছরে এই খাত থেকে আয় হয়েছিল ১ হাজার ১৫৩ কোটি টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে আয় হয়েছিল ১ হাজার ১০২ কোটি টাকা। আর ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এসেছিল ৮৭৭ কোটি টাকা।
২০১০-১১ অর্থবছরে ওষুধ রপ্তানি করে বাংলাদেশ ৩৭৫ কোটি টাকা আয় করেছিল। ২০১১-১২ অর্থবছরে আয় হয় ৪০৯ কোটি টাকা।
২০১২-১৩ অর্থবছরে রপ্তানি আয় বেড়ে দাঁড়ায় ৪৭৮ কোটি টাকা। ২০১৩-১৪ অর্থবছরে আয়ের পরিমাণ ছিল ৫৫৪ কোটি টাকা। এরপর ২০১৪-১৫ অর্থবছরে তা কিছুটা কমে হয় ৫৪১ কোটি টাকা।
এরপর আবার রপ্তানি বাড়তে থাকে। ২০১৫-১৬ অর্থবছরে এই আয়ের অঙ্ক ছিল ৬৫৭ কোটি টাকা। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে তা আরও বেড়ে হয় ৭১৪ কোটি টাকা।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য অনুযায়ী, ওষুধ রপ্তানি আয়ের ২০ শতাংশই দখল করে আছে বেক্সিমকো। দ্বিতীয় অবস্থানে ইনসেপটা ফার্মাসিউটিক্যালস। এ ছাড়া স্কয়ার, এসকেএফ, বিকন ফার্মাসিউটিক্যালস, একমি ল্যাবরেটরিজসহ আরও কয়েকটি প্রতিষ্ঠান ওষুধ রপ্তানি করে থাকে।
জিডিপিতে ওষুধ খাতের অবদান ২ শতাংশ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য অনুযায়ী, জাতীয় অর্থনীতিতে ওষুধশিল্পের অবদান বাড়ছে। জিডিপিতে (মোট দেশজ উৎপাদন) ওষুধ খাতের অবদান এখন প্রায় ২ শতাংশ।
দেশ স্বাধীনের পর অভ্যন্তরীণ মোট চাহিদার মাত্র ২০ ভাগ ওষুধ বাংলাদেশ উৎপাদন করতে সক্ষম ছিল, আর ৮০ ভাগই নির্ভর করতে হতো আমদানির ওপর। বর্তমানে ওষুধের মোট চাহিদার ৯৭ শতাংশের বেশি স্থানীয়ভাবেই উৎপাদিত হচ্ছে।
বাংলাদেশ ওষুধ শিল্প সমিতির তথ্য বলছে, সারা দেশে ছোট-বড় মিলিয়ে ২০০টির মতো ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রতিবছর ২৪ হাজার ব্র্যান্ডের ওষুধ উৎপাদিত হয়ে থাকে। সব মিলিয়ে এ খাতের বার্ষিক বাজার মূল্য ৩০ হাজার কোটি টাকার মতো।
আগামী ১০ বছরে এ শিল্পের রপ্তানি বাজার ১৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করার আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অফ ফার্মাসিউটিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজের (বিএপিআই) তথ্য অনুযায়ী, দেশের অভ্যন্তরীণ বাজারের ১৮.৮ শতাংশের দখল নিয়ে শীর্ষে রয়েছে স্কয়ার ফার্মাসিউটিক্যাল। এ ছাড়া, ইনসেপটা, বেক্সিমকো, অপসোনিন, রেনাটা ও এসকেএফের দখলে রয়েছে যথাক্রমে ১০.২, ৮.৫, ৫.৬, ৫.১ ও ৪.৫ শতাংশ বাজার।
২০২৬ সালের পর কী হবে
ওষুধ খাতে রপ্তানি আয় বেড়ে চললেও ২০২৬ সালে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে বের হলে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বে ছাড় পাওয়ার সুবিধা আর থাকার কথা নয়। বর্তমান ট্রিপস সুবিধার আওতায় বাংলাদেশের ২০৩৩ সাল পর্যন্ত ওষুধের মেধাস্বত্বের জন্য কোনো ব্যয় না করেই ওষুধ তৈরি ও কেনা-বেচা করার সুযোগ পাওয়ার কথা রয়েছে।
এলডিসি থেকে বের হলেও বাংলাদেশ যাতে এই সুবিধা পায়, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অবশ্য জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে।
বাণিজ্যসচিব তপন কান্তি ঘোষ নিউজবাংলাকে বলেন, ‘বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া মহামারি করোনাভাইরাসসহ সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে আমরা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। আশা করছি, এই সুবিধাটা আমরা ২০৩৩ সাল পর্যন্ত পাব। ডব্লিউটিও ইতিবাচক সাড়া দেবে।’
একই আশা করছেন দেশের অন্যতম বড় ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের চিফ অপারেটিং অফিসার রাব্বুর রেজা এবং বিকন ফার্মাসিউটিক্যালসের গ্লোবাল বিজনেসের পরিচালক মনজুরুল আলম।
রাব্বুর রেজা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদেরও বিশ্বাস একটা ভালো সিদ্ধান্তে পৌঁছাবে ডব্লিউটিও। সে ক্ষেত্রে, আমাদের দেশের ওষুধশিল্প ও রপ্তানিতে কোনো নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।’
তিনি বলেন, ‘গত কয়েক বছর ধরে যেভাবে রপ্তানি বাড়ছিল, সেভাবেই বাড়বে। মহামারির মধ্যেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে ফার্মাসিউটিক্যাল প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়মিত কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে এবং দেশ-বিদেশের বাজারে প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহ করে যাচ্ছে। ভবিষ্যতে এই শিল্পের রপ্তানি আরও বাড়বে।’
মনজুরুল আলম বলেন, ‘ওষুধ খাতের রপ্তানি বাজার খুবই উজ্জ্বল বলে আমি মনে করি। গত অর্থবছরে আমাদের কোভিডের ওষুধের প্রচুর অর্ডার ছিল, কিন্তু আমরা দিতে পারিনি। দেশের চাহিদা মিটিয়েছি।’
তিনি বলেন ‘ট্রিপস নিয়ে আমরা মোটেই চিন্তিত নই। সরকার যেভাবে সিরিয়াসলি কাজ করছে, বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়টি নিয়ে যতটা আন্তরিক, তাতে আমরা বুঝতে পেরেছি ২০৩৩ সাল অবধি আমরা এ সুবিধা পেয়ে যাব।
‘আর সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, আমাদের এই খাত এখন এমন শক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়েছে যে, বিশ্বের বড় বড় কোম্পানি আমাদের এখানে বিনিয়োগ করতে এগিয়ে আসবে। সে কারণে ট্রিপস সুবিধা উঠে গেলেও বাংলাদেশের ওষুধশিল্পের কোনো সমস্যা হবে বলে আমি মনে করি না।’
তবে বিষয়টিকে হালকাভাবে না নিতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন অর্থনীতিবিদ ও গবেষণা সংস্থা সিপিডির সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের জন্য বাড়তি সুবিধা নিশ্চিত করতে জোরালো রাজনৈতিক উদ্যোগ দরকার।’
ড. দেবপ্রিয় নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আগামী ২৬ ও ২৭ জুলাই ডব্লিউটিওর সাধারণ পরিষদের বৈঠকটি বাংলাদেশের জন্য, বিশেষত ওষুধ খাতের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। ওষুধের ক্ষেত্রে মেধাস্বত্ব চুক্তি পরিপালনে যেসব অব্যাহতি রয়েছে, তার সুফল এলডিসি হিসেবে বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পাচ্ছে। এলডিসি না থাকলে এ সুবিধা আরও ১২ বছর রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। সাধারণ পরিষদে এ বিষয়ে সমঝোতা না হলে এ বছরের শেষের দিকে জেনেভাতে মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকে এটি অন্যতম এজেন্ডা হবে।
‘সাধারণ পরিষদের বৈঠকের সময় আছে দুই সপ্তাহেরও কম। এই স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বড় ধরনের তদবির করতে হবে। শুধু জেনেভা মিশনের দর-কষাকষির ওপর নির্ভর করলে হবে না, রাজনৈতিক প্রচেষ্টা নেয়াও খুব গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকা থেকে এ ক্ষেত্রে সমন্বয় জোরদারের চেষ্টা চালাতে হবে। এ প্রক্রিয়ায় বড় বড় দেশে বাংলাদেশের দূতাবাসগুলোকে সম্পৃক্ত করা যেতে পারে।’
দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য জেনেভাতে জাতিসংঘ, ডব্লিউটিও এবং আন্তর্জাতিক অন্যান্য সংস্থার বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত। বর্তমানে তিনি জাতিসংঘের কমিটি ফর ডেভেলপমেন্ট পলিসির (সিডিপি) সদস্য। এ কমিটি এলডিসি থেকে উত্তরণের জন্য সুপারিশ করে থাকে।
ওষুধশিল্পে মেধাস্বত্ববিষয়ক চুক্তি পরিপালন করতে গেলে বাংলাদেশের ওপর সম্ভাব্য প্রভাব সম্পর্কে দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘ওষুধ আমদানির ওপর বর্তমানে যে নিয়ন্ত্রণ রয়েছে, তা তুলে নিতে হবে। ছোট ওষুধ কোম্পানির ওপর প্রতিযোগিতার চাপ বাড়বে। পেটেন্ট আছে এমন ওষুধের ক্ষেত্রে ফি দিতে হবে। স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ওষুধের দাম বেড়ে যাওয়ার চাপ তৈরি হবে। এ ছাড়া ওষুধের কাঁচামাল (এপিআই) উৎপাদনের উদ্যোগ বাধাগ্রস্ত হবে।’